দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। এটি মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব। সবাইকে সম্প্রীতির বন্ধনে বাঁধার সওগাত নিয়ে আসে ঈদ। এর আনন্দ থেকে ধনী-নির্ধন কেউ বঞ্চিত নন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়ে থাকে।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘প্রিয় নবী (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনায় আগমন করে দেখলেন, মদিনাবাসী খেলাধুলার মধ্য দিয়ে দুইটি দিবস উদযাপন করে থাকে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, এ দুইটি কীসের দিবস? তারা বললেন, এ দুই দিবসে জাহেলি যুগে আমরা খেলাধুলার করে উদযাপন করতাম। তিনি বললেন, ‘আল্লাহ তোমাদের জন্য এর থেকে উত্তম দুইটি দিবসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। একটি হলো, ঈদুল আজহা এবং অপরটি ঈদুল ফিতর।’ -আবু দাউদ
‘ঈদ’ অর্থ যা ফিরে ফিরে আসে। ‘ফিতর’ অর্থ ভেঙে দেওয়া বা ইফতার (নাস্তা) করা। ঈদুল ফিতর মানে সে আনন্দঘন উৎসব, যা দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর আসে। নৈতিক, আত্মিক ও সামাজিক পরিশুদ্ধির সীমানা পেরিয়ে সামষ্টিক কল্যাণ নিয়ে ঈদ আসে।
ঈদের সকালে সর্বস্তরের মুসলিমরা ঈদগাহে আসেন নামাজ পড়তে। সেখানে একে অপরে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর ঘরে ঘরে চলে ফিরনি-পায়েসের আয়োজন।
ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। যারা ঈদের নামাজ আদায় করে না তারা অবশ্যই গুনাহগার হবে। ঈদ আসে বিশ্ব মুসলিমের দ্বারপ্রান্তে বার্ষিক আনন্দের মহা বার্তা নিয়ে, আসে সীমাহীন প্রেম-প্রীতি বিলাবার সুযোগ নিয়ে, বিগত দিনের সকল ব্যথা বেদনা ভুলিয়ে দিতে, কল্যাণ ও শান্তির সওগাত নিয়ে। বছরে দুইদিন ঈদের নামাজের মাধ্যমে মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য যে মহাসম্মেলনের ব্যবস্থা করেছেন তার মধ্যে রয়েছে ইসলামী সমাজ কায়েমের প্রেরণা। সমাজকে কলুষ কালিমা মুক্ত করার জজবা, মানবতা ও মনুষ্যত্ব বিকাশের এক বিশেষ অনুশীলন।