জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন প্রথম আলোকে বলেন, গত (১২মার্চ)সোমালিয়ার উপকূলে ১৮ দিন ধরে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও ছাগল আনছে জলদস্যুরা।
এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল। জিম্মি জাহাজটিতে থাকা নাবিকদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের বরাতে নাবিকদের সংগঠনের একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা নেই।
জিম্মি করা জাহাজে থাকা নাবিকদের তথ্য মতে, ঐ সময় জাহাজটিতে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল। এই পানি দিয়ে এক মাস পর্যন্ত ব্যাবহার করা যাবে বলে জানান,জাহাজে থাকা নাবিকরা । আরো বলেন, এই পানি রেশনিং করে অনেক দিন ব্যবহার করা যাবে। পানি স্বল্পতার কারণে এখন নাবিকরা শুধু রান্না ও খাবারের জন্য বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করছেন ।
কর্তপক্ষ বলছেন,দূরে কোনো জায়গায় যাত্রা পথে রওনা হলে কত দিন যাত্রা পথে থাকতে হবে তার ওপর ভিত্তি করে জাহাজে থাকা নাবিকদের জন্য জাহাজে পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাবার মজুদ করে রাখা হয় । যাতে করে নাবিকরা খাবারের জন্য কোনো রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে না হয় । আর শুকনো খাবার বেশি দিন মজুদ করে রাখা যায় । তবে,সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিশুদ্ধ খাবার পানির জন্য ।যেটা রেশনিং করলে দীর্ঘ দিন রাখা যায়।
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচনা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে চেষ্টা হলো যত দ্রুত সম্ভব নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে হবে ।