ঢাকা ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম...

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস, মানতে নারাজ ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে উপত্যকাটির শাসক গোষ্ঠী হামাস। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

কাতারভিত্তিক সংবাদসংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস তিনটি পর্যায়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিন পর্যায়ের প্রতিটি ৪২ দিন স্থায়ী হবে। তবে এরপরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

হামাস নেতা খলিল আল–হায়া বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটিতে ইসরায়েলের দাবি পূরণ হয়নি। তবে ইসরায়েল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে আলোচকদের সাথে দেখা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে।’

এর আগে সোমবার (০৬ মে) ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রাফাহতে আকাশ ও স্থল থেকে আক্রমণ চালায় এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মূলত গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।

এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরো বলেছে, তার (নেতানিয়াহুর) যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ বলেছেন, নেতানিয়াহু রাফাহতে বোমা হামলা করে যুদ্ধবিরতিকে বিঘ্নিত করছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হামাস, মানতে নারাজ ইসরায়েল

আপডেট সময় : ১১:০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে উপত্যকাটির শাসক গোষ্ঠী হামাস। তবে ইসরাইলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

কাতারভিত্তিক সংবাদসংস্থা আল জাজিরা জানিয়েছে, ‘মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস তিনটি পর্যায়ে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তিন পর্যায়ের প্রতিটি ৪২ দিন স্থায়ী হবে। তবে এরপরও গাজায় যুদ্ধবিরতি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’

হামাস নেতা খলিল আল–হায়া বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যক্তিগতভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মধ্যস্থতাকারীরা।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, ‘যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটিতে ইসরায়েলের দাবি পূরণ হয়নি। তবে ইসরায়েল একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে আলোচকদের সাথে দেখা করার জন্য প্রতিনিধি দল পাঠাবে।’

এর আগে সোমবার (০৬ মে) ইসরায়েলি বাহিনী গাজার দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত রাফাহতে আকাশ ও স্থল থেকে আক্রমণ চালায় এবং শহরের কিছু অংশ থেকে বাসিন্দাদের ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। মূলত গাজার এই শহরটি এখন ১৪ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল।

এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরো বলেছে, তার (নেতানিয়াহুর) যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রাফাহতে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার অনুমোদন দিয়েছে। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি সোশ্যাল মিডিয়া সাইট এক্স-এ বলেছেন, নেতানিয়াহু রাফাহতে বোমা হামলা করে যুদ্ধবিরতিকে বিঘ্নিত করছেন।

অন্যদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু। এ ছাড়া এ পর্যন্ত ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে।’