বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভয়াবহ প্রাণঘাতী কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত অঙ্গ সংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই কলেরা বাড়তে থাকায় তা নিয়ন্ত্রণের জন্য বড় আকারের টেস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ‘গত দু’তিন বছর ধরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আমরা কলেরার অনাকাঙিক্ষত প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলছে বলে লক্ষ্য করছি।’ এই কলেরার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কলেরার বৈশ্বিক টেস্ট কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হিসাব অনুযায়ী, ‘২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এর উদ্দেশ্য হলো কলেরা নির্ভুলভাবে শনাক্ত করা, নিয়মিত নজরদারি এবং কলেরা টেস্ট বিষয়ক সক্ষমতা বাড়ানো।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিবৃতিতে আরও জানায় যে, ‘কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশে কলেরা টেস্ট করার সকল সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হবে।’ প্রাথমিক পর্যায়ে মালাউই, ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সিরিয়া, জাম্বিয়াসহ মোট ১৪টি দেশে পাঠানো হবে কলেরা টেস্ট করার সকল সরঞ্জাম।
কলেরা হয় সাধারণত দূষিত পানি ও খাবারের মধ্যে জন্মানো এক প্রকার ব্যাকটেরিয়ার কারণে। এই রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন দেশের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। কলেরায় অধিকাংশই মারা যায় শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্ক মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, ‘২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কলেরায় আক্রান্ত হয়েছিল ৪ লাখ ৭৩ হাজার জন।’ ২০২৩ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় তার দ্বিগুণ। ২০২৪ সালে কলেরায় আক্রান্ত সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও)।