ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নোটিশ ::
আমাদের নিউজপোর্টালে আপনাকে স্বাগতম...

রাফা ক্রসিংয়ের দখল নিল ইসরায়েল

গাজা ও মিশরের সংযোগ স্থল রাফা ক্রসিং দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি দখলদার বাহীনি (আইডিএফ)। খবর রয়টার্সের।

রয়টার্স মঙ্গলবার (৭ মে) জানায়,  রাতে আইডিএফের সেনারা রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই মুহূর্তে ক্রসিংয়ের যাবতীয় অপারেশনাল কাজ নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের সেনারা ক্রসিংয়ের আশেপাশে সন্ত্রাসীদের কোনো গোপন আস্তানা রয়েছে কি না— তার অনুসন্ধান করছে। এই অনুসন্ধান শুধু ক্রসিংয়ের গাজা অংশে চলছে।’

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত রাফা ক্রসিংয়ের একপাশে গাজা, অন্যপাশে মিশরের সিনাই উপদ্বীপ। গাজায় দখলদার বাহিনী অভিযান শুরুর আগ পর্যন্ত এই সীমান্তপথটিকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ বলে বিবেচনা করা হতো।

গাজা বর্ডার ক্রসিংয়ের এক মুখপাত্র হিশাম এদওয়ান বলেন, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ হয়ে গেলে গাজা উপতক্যার বাসিন্দাদের মৃত্যু ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না। অবরুদ্ধ রাফাহ শহরে প্রবেশ ও মিসরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই ক্রসিং। এই ক্রসিং দিয়েই ত্রাণ সাহায্য পৌঁছায় গাজায়।

রাফায় আক্রমন নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত একাধিকবার রাফায় সামরিক অভিযান চালানের ব্যাপারে নেতানিয়াহুকে নিষেধ করেছিলেন।তবে সবকিছু উপেক্ষা করে রাফায় আক্রমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধকালীল মন্ত্রীসভা।

উল্লেখ্য,৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামালা পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চালিয়ে ‍যাচ্ছে বর্বর গণহত্যা। হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার আহত ৭৪ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনি।

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

জনপ্রিয় সংবাদ

রাফা ক্রসিংয়ের দখল নিল ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০৩:৩০:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

গাজা ও মিশরের সংযোগ স্থল রাফা ক্রসিং দখলে নিয়েছে ইসরায়েলি দখলদার বাহীনি (আইডিএফ)। খবর রয়টার্সের।

রয়টার্স মঙ্গলবার (৭ মে) জানায়,  রাতে আইডিএফের সেনারা রাফা ক্রসিংয়ের গাজা অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এই মুহূর্তে ক্রসিংয়ের যাবতীয় অপারেশনাল কাজ নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের সেনারা ক্রসিংয়ের আশেপাশে সন্ত্রাসীদের কোনো গোপন আস্তানা রয়েছে কি না— তার অনুসন্ধান করছে। এই অনুসন্ধান শুধু ক্রসিংয়ের গাজা অংশে চলছে।’

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত রাফা ক্রসিংয়ের একপাশে গাজা, অন্যপাশে মিশরের সিনাই উপদ্বীপ। গাজায় দখলদার বাহিনী অভিযান শুরুর আগ পর্যন্ত এই সীমান্তপথটিকে গাজায় বসবাসকারী ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘লাইফ লাইন’ বলে বিবেচনা করা হতো।

গাজা বর্ডার ক্রসিংয়ের এক মুখপাত্র হিশাম এদওয়ান বলেন, রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ হয়ে গেলে গাজা উপতক্যার বাসিন্দাদের মৃত্যু ছাড়া আর কোন গতি থাকবে না। অবরুদ্ধ রাফাহ শহরে প্রবেশ ও মিসরে যাতায়াতের একমাত্র পথ এই ক্রসিং। এই ক্রসিং দিয়েই ত্রাণ সাহায্য পৌঁছায় গাজায়।

রাফায় আক্রমন নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পর্যন্ত একাধিকবার রাফায় সামরিক অভিযান চালানের ব্যাপারে নেতানিয়াহুকে নিষেধ করেছিলেন।তবে সবকিছু উপেক্ষা করে রাফায় আক্রমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধকালীল মন্ত্রীসভা।

উল্লেখ্য,৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামালা পর থেকে অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর চালিয়ে ‍যাচ্ছে বর্বর গণহত্যা। হামলায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৩৫ হাজার আহত ৭৪ হাজারেরও অধিক ফিলিস্তিনি।